শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
বিএম রবিউল ইসলাম উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে উপজেলার অধিকাংশ রাস্তার পাশে, পুকুর পাড়ে ও কৃষি জমির পাশে ছিল প্রচুর পরিমাণ খেজুর গাছ। শীত মৌসুম শুরু হতেই গাছীরা ব্যাস্ত হয়ে পড়তো খেজুরের রস সংগ্রহ করার কাজে। সেই রসের চাহিদাও ছিল প্রচুর। ফলে বিভিন্ন পিঠা, পুলি ও পায়েসসহ নানা প্রকার খাবার তৈরির জন্য খেজুরের রস ছিল অন্যতম উপাদান। এ জন্য গাছীদের চাহিদার কথা আগেই বলে রাখতে হতো। ফলে যাদের খেজুর গাছ ছিল না তারাও রস খাওয়া থেকে বঞ্চিত হতেন না। তখন শীতে আনন্দময় পরিবেশ বিরাজ করত। বিশেষ করে এ মৌসুম এলে গাছীদের আনন্দের সীমা থাকত না। খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য মহাব্যাস্ত হয়ে পড়তেন তারা। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক এ মধুবৃক্ষকে ঘিরে গ্রামীণ জনপদে থাকত উৎসবমুখর পরিবেশ। এ সময় মেহমান আসা মানেই খেজুরের রস ও আমন ধানের পিঠা, পুলি ও পায়েশ দিয়ে আপ্যায়ন। তাছাড়া খেজুরের গুড় দিয়ে মুড়ির মোয়া, চিরার মোয়া ও মুড়ি খাওয়ার জন্য কৃষক পরিবার থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের শীতের মৌসুম অতিপ্রিয়। কিন্তু ইটভাটা, বাণিজ্যিক চাষ, সুষ্ঠু তদারকি না করার ফলে উপজেলার ঐতিহ্যের বাহক গ্রাম থেকে খেজুরগাছ আজ বিলুপ্তি প্রায়।